তপন চক্রবর্তী
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
প্রতি বছরের মত এবারও মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে ৫ এপ্রিল থেকে বান্দরবান চৌধুরী মার্কেট সংলগ্ন সাঙ্গু নদীর তীরে শুরু হচ্ছে ৩ (তিন) দিনব্যাপী মহাপুণ্য শ্রী শ্রী গঙ্গাপূজা ও বারুণী স্নান অনুষ্ঠান।
শুক্রবার থেকেই গঙ্গা পূজার উদযাপন কমিটি আর্শিবাদ সংঘের উদ্যাগে ০৫, ০৬ ও ০৭ এপ্রিল তিন দিনব্যাপী শ্রী শ্রী গঙ্গা মায়ের বোধন, মহানাম যজ্ঞের শুভ অধিবাস, মহানামযজ্ঞ, বারুণীপূজা ও বারুণী স্নান, গঙ্গা মায়ের পূজা, ভোগারতি, গঙ্গামায়ের সন্ধ্যারতি, গঙ্গা আরতি ও হাজার প্রদীপ নিবেদন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আনন্দবাজারে মহাপ্রসাদ আস্বাদনসহ নানা মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
শনিবার (৬ এপ্রিল) উষালগ্নে মহানামযজ্ঞ শুভারম্ভ, সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে বারুণী পূজা ও বারুণী স্নান শুভারম্ভ, সকাল ১০টায় শ্রী শ্রী গঙ্গামায়ের পূজারম্ভ, দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে ভোগারতি, দুপুর ১টায় আনন্দবাজারে মহাপ্রসাদ আস্বাদন, সন্ধ্যা ৬টায় শ্রী শ্রী গঙ্গা মায়ের সন্ধ্যারতি, ৬টা ৩০মিনিটে মহানামযজ্ঞের পূর্ণাহুতি, সন্ধ্যা ৭টায় গঙ্গামায়ের আরতি ও হাজার প্রদীপ নিবেদন, রাত ৮টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রাত ১০টায় আনন্দবাজারে মহাপ্রসাদ আস্বাদন। রবিবার (৭ এপ্রিল) সকাল ৮ টায় পুষ্পাঞ্জলী শেষে সাঙ্গু নদীতে প্রতিমা বিসর্জন এর মাধ্যমে এবারের বর্ণাঢ্য আয়োজন সমাপ্তি ঘটবে।
আশীর্বাদ সংঘ এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রতি বছর মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশীর তিথিতে মহাপুণ্য লগ্নে গঙ্গা মায়ের পূজা ও বারুণী স্নান উপলক্ষ্যে আর্শীবাদ সংঘ বর্ণাঢ্য আয়োজন করে থাকে। এই পুণ্য তিথিতে গঙ্গাস্নান করলে মানবের সকল প্রকার পাপ মোচন হয়। তাই হিন্দু সম্প্রদায়ের সকল লোকজন এই গঙ্গা পূজা ও বারুণীস্নানে অংশ গ্রহণ করে জীব ও জগৎ এর মঙ্গল কামনা করেন। এ সময় হিন্দু সম্প্রদায় ছাড়াও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের শত শত পূর্ণার্থীগণ সাঙ্গু নদীতে গঙ্গা মায়ের চরণে ভক্তি নিবেদন করে পুণ্য ও পাপ মুক্তি লাভের আশায় বারুণী স্নানে অংশ গ্রহণ করে।