মো আনিছুর রহমান (স্টাফ রিপোর্টার) ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় কালের কণ্ঠের কয়েক বারের দেশসেরা জেলা প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু’র উপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নসহ (বিএফইউজে) বিভিন্ন মহলের নেতৃবৃন্দ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিক ইউনিয়নের এক সভায় হামলাকারির বিচার দাবি করা হয়। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় বইছে।
এদিকে হামলাকারি মহিউদ্দিন মিশুকে রবিবার সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। আজ সোমবারও হামলাকারি জেলহাজতে আছে। আহত সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু’র অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে থুঁতনির সেলাই খুলতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে।
সোমবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যকারি পরিষদের এক সভায় হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। দীপক চৌধুরী বাপ্পীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন, সাধারন সম্পাদক মো. মনির হোসেন, ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, আজিজুল আলম সঞ্চয়, মো. মুজিবুর রহমান। ইউনিয়নের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে বিএসইউজে এর সভাপতি মো. ওমর ফারুক ও মহাসচিব দীপ আজাদ।
এছাড়া হামলার ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরাম, খেলাঘর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা, আখাউড়ার নববন্ধন খেলাঘর আসর, আখাউড়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, বিজয়নগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, আখাউড়া হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, অরুণ সংঘসহ বিভিন্ন সংগঠন নিন্দা জানিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে নিন্দার ঝড় বইছে।
গত রবিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু এ হামলার শিকার হন। এ ঘটনায় যমুনা টিভি ও দৈনিক যুগান্তরের আখাউড়া উপজেলা প্রতিনিধি মহিউদ্দিন মিশুকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করে আখাউড়া থানা পুলিশ।
মামলা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, স্থলবন্দরের লাগেজ পার্টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই মহিউদ্দিন মিশুর সঙ্গে বিশ্বজিৎ পাল এর বিরোধ চলে আসছিল।গত রবিবার স্থলবন্দরের শূণ্যরেখায় বিশ্বজিৎ পালকে দেখতে পেয়ে মিশুর বাড়ী স্খল বন্দরের কাছে হওয়ায় তার নিকটতম লোকজন তার আঁশে পাশে থাকায় অন্যায় ভাবে বিশ্বজিৎ পালকে খারাপ আচরণ করতে থাকেন মহিউদ্দিন মিশু।পরিস্থিতি খারাপ দেখে একা থাকায় গালমন্দের প্রতিবাদ না করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে উদ্যত হলে মহিউদ্দিন মিশু দৌড়ে এসে তাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে মহিউদ্দিন মিশু ধারালো বস্তু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করলে বিশ্বজিৎ পাল’র থুঁতনির নিচে বাম পাশে রক্তাক্ত জখম হয়। পরে সেখান থেকে তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে রক্তাক্ত স্থানে দু’টি সেলাই দেওয়া হয়।