নতুন জামাকাপড়, জুতা, প্রসাধনী কেনাকাটায় যতই ব্যস্ততা থাকুক ঈদের ঠিক আগের সময়টায় কিছুটা মনোযোগ দিতেই হয় উৎসবের ওই দিনটিতে খাওয়া-দাওয়ার বিশেষ আয়োজন নিয়েও। আর সে কারণে ঘরে ঘরে বাজারের আলাদা একটা ফর্দ তৈরি হয়, যেখানে ওপরের দিকেই লেখা থাকে মাংস, পোলাও, ফিরনি, পায়েসের মতো নানা রকম মজাদার খাবার রান্নার উপকরণ। আর সেগুলো রান্নার জন্য তখনই একটু বাড়তি পরিমাণে যোগ করতে হয় নানাবিধ মসলার নাম। বাঙালির হেঁশেলের আসল জাদুকাঠি তো মসলার কৌটাতেই লুকানো থাকে! কিন্তু মসলার বাজারও গরম। অবশ্য ঈদুল আজহার মতো ঈদুল ফিতরে মসলার চাহিদা ততটা বাড়ে না। তারপরও মসলার বাজারে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেছে, বেশ কিছু মসলার দাম গতবারের চেয়ে অনেকটাই বেড়ে গেছে।
জানা যায়, এক বছরের ব্যবধানে এলাচের দাম বেড়েছে কেজিতে ১ হাজার টাকা। গত বছর যে এলাচ বিক্রি হয়েছিল ২ হাজার ৫৫০ টাকায় সেটির দাম এ বছর ৩ হাজার ৬০০ টাকা। এ ছাড়া গত ৯ মাসের ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের গরম মসলার দাম। গত বছরের জুনে জিরার কেজি ছিল ৭৭০ টাকা। এ বছর মার্চে সেটি ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। দারুচিনির কেজি ছিল ৪৪০ টাকা, বর্তমানে ১৬০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। লবঙ্গের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩২০ টাকা। গত বছর মসলাটি বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৪৮০ টাকায়, বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ টাকা কেজিতে।
শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মেসার্স ফরিদগঞ্জ স্টোরের স্বত্বাধিকারী জয়নাল আবেদীন জানান, এলাচের দাম এক বছরের ব্যবধানে ১ হাজার টাকা বেড়েছে। গত বছর এলাচের কেজি ছিল ২ হাজার ৬০০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬০০ টাকায়। এক মাসের ব্যবধানে পাকিস্তানি কিশমিশের দাম ৭০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৪০ টাকায়, ভারতীয় কিশমিশ ১০০ টাকা বেড়ে ৫৫০ টাকা হয়েছে। কালো গোলমরিচের দাম ২২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮৮০ টাকায়। সাদা গোলমরিচ ১ হাজার ২০০ টাকা। এ ছাড়া তার দোকানে দারুচিনি ৬০০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৮০০ টাকা, বাদাম ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
একই বাজারের ইয়াসিন জেনারেল স্টোরের আলী হোসেন জানান, প্রতি কেজি গুঁড়া হলুদে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়, ৪০ টাকা বেড়ে গুঁড়া মরিচ ৪৮০ টাকায়, গুঁড়া ধনে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বাজারটিতে আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে। পেঁয়াজের কেজি ৫০ টাকা ও আমদানি করা রসুন ২০০ এবং দেশি নতুন রসুন ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তেজপাতা ২০০ টাকা, কাঠবাদাম ৩০০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার টাকা ও কাজুবাদাম ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
যমুনা ফিউচার পার্কের দ্বিতীয় তলায় বেশ কয়েকটি দোকানে আমদানি করা মসলাপাতি বিক্রি করা হয়। সেখানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জিরা বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজিতে, দারুচিনি ৫০০ থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৮০০ টাকা, পাকিস্তানি কিশমিশ ৬৮০ ও ভারতীয় ৬২০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ১ হাজার ও কালো ৯০০ টাকা, আলুবোখারা ৫৫০ টাকা, ভারতীয় জিরা ৮০০ ও তুরকি ১ হাজার ১০০ টাকা, জয়ত্রী ৩ হাজার ১০০ টাকা, ছোট এলাচ ৩ হাজার, বড় দানা ৪ হাজার টাকা, কাঠবাদাম ১ হাজার ৮০, কাজুবাদাম ১ হাজার ৩০০ ও জাম্বু ১ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
যমুনা ফিউচার পার্কের জিনিয়া স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. ফাহিজ হোসেন বলেন, আমাদের পণ্যের দাম সাধারণ বাজারের মতোই। তবে মানের দিকে এগুলো ভালো। এখানকার ক্রেতারা বেশিরভাগই রুচিশীল। সেক্ষেত্রে পণ্যটাও মানসম্মত রাখতে হয়।
প্যাকেটে ঢুকলেই বেড়ে যাচ্ছে দাম
করপোরেট কোম্পানিগুলো সুদৃশ্য মোড়কজাত করে প্রায় সব ধরনের মসলাতেই ক্রেতাদের কাছ থেকে অস্বাভাবিক দাম আদায় করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বাজারে এটি তদারকি করারও কেউ নেই। এ ব্যাপারে একাধিক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, শুধু পলিথিনে প্যাকেট করে ৬০০ টাকার জিরা ২ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ৫০ গ্রাম গুঁড়া হলুদ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা, তাতে প্রতি কেজির দাম পড়ে ৭০০ টাকা, ১০০ গ্রাম মরিচের দাম ১০০ টাকা হিসেবে এক কেজির দাম ১ হাজার টাকা, ১০০ গ্রাম ধনিয়া ৬০ টাকা হিসেবে এক কেজির দাম ৬০০ টাকা, ১৫ গ্রাম জিরার দাম ৪৩ টাকা, সে হিসেবে এক কেজি জিরা ২ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঈদে গরম মসলার দাম বেশি একটা বাড়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. এনায়েত উল্লাহ। তিনি বলেন, পর্যাপ্ত মজুদ আছে, তাই মসলার দাম খুব বেশি বাড়ার সুযোগ নেই। তারপরও বাজার পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে এসব পণ্যের দাম কমে অথবা বাড়ে।
করপোরেট কোম্পানিগুলোর অধিক দামে মসলা বিক্রির বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ.এইচ.এম সফিকুজ্জামান বলেন, কে কত টাকায় বিক্রি করবে সেটি কোম্পানি নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে। তাদের ব্যয় কত হয়েছে সেটি তো আমরা জানি না। তবে বাজারে প্রতিযোগিতামূলক দাম আছে কি না, তা দেখার দায়িত্ব বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের।
গত বছর যে দাম ছিল গরম মসলার
গত বছরের জুনে প্রতি কেজি জিরার দাম ছিল ৭৭০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৪৮০ টাকা, সাদা এলাচ ২ হাজার ৪২০ টাকা, ভালো মানের এলাচ ২ হাজার ৫৫০ টাকা, কালো এলাচ ১ হাজার ৫০ টাকা, দারুচিনির দাম ৪৪০ টাকা, তেজপাতা ২০০ টাকা, গোলমরিচ ৭০০ টাকা, জায়ফল ৯০০ টাকা, জয়ত্রী ৩ হাজার ৩০০ টাকা। খোলা হলুদ গুঁড়া ২৫০ টাকা, শুকনা মরিচ গুঁড়ার প্রতি কেজি ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা, ধনে গুঁড়া ৩০০ টাকা, প্রতি কেজি আদা ৪০০ টাকা।
এদিকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসেবে গত এক বছরের ব্যবধানে এলাচের দাম বেড়েছে কেজিতে ৯০০ টাকা। গত বছর এলাচ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা, সেখানে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা। লবঙ্গের দাম বেড়েছে ৪০০ টাকা। গত বছর ছিল ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা ও বর্তমানে ১ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকা। জিরার দাম বেড়েছে ২৫০ টাকা। গত বছর ছিল ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা ও বর্তমানে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। দেশি হলুদের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বেড়েছে। গত বছর ছিল ২০০ থেকে ২৪০ টাকা ও বর্তমানে ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা।
দুই বছরে এলাচ, দারুচিনির আমদানি চিত্র
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে মসলা আমদানির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত অর্থবছরের তুলনায় এবার এলাচ কিছুটা কম আমদানি হয়েছে। সেখানে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলতি অর্থবছরের গত আট মাসে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে এলাচ আমদানি হয়েছে ২ হাজার ৭০৫ মেট্রিক টন। এর মধ্যে সর্বশেষ ফেব্রুয়ারি মাসে আমদানি হয়েছে ১৬৯ মেট্রিক টন। দারুচিনিও কম আমদানি হয়েছে। গত অর্থবছর দারুচিনি আমদানি হয়েছে ১৫ হাজার ৭৫২ মেট্রিক টন। সেখানে এবার আমদানি হয়েছে ৭ হাজার ৭৬ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে আমদানি হয়েছে ১ হাজার ৪৩ মেট্রিক টন। লবঙ্গ আমদানি হয়েছে ৯৩৭ মেট্রিক টন, যার মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে আমদানি হয়েছে ২৯৯ মেট্রিক টন। গত অর্থবছরে লবঙ্গ আমদানি হয়েছিল ১ হাজার ২৭৫ মেট্রিক টন।
গত অর্থবছরের তুলনায় এবার জিরা আমদানি বেড়েছে। গত অর্থবছর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে জিরা আমদানি হয়েছে ৩ হাজার ৬৫৯ মেট্রিক টন। সেখানে চলতি অর্থবছরের গত আট মাসে জিরা আমদানি হয়েছে ৭ হাজার ২০ মেট্রিক টন। এর মধ্যে সর্বশেষ ফেব্রুয়ারি মাসে আমদানি হয়েছে ২২২ মেট্রিক টন।
এলাচ আমদানির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৯ দশমিক ৫ ডলার থেকে সর্বোচ্চ ১২ ডলারে। প্রতি ডলার ১১০ টাকা হিসেব করলে প্রতি কেজি এলাচের আমদানি মূল্য পড়ছে ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৩০০ টাকা। শুল্ককর পরিশোধ করার পর ওই এলাচ খাতুনগঞ্জে পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯০০ টাকায়।
খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, বাজারে এখন নতুন এলাচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৯০০ টাকায়। অন্যদিকে পুরাতন এলাচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়। এ ছাড়া ভারতীয় এবং চায়না দুই জাতের জিরা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়। লবঙ্গ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৪৫০ টাকায়। কালো গোলমরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৪০ থেকে ৭৫০ টাকায়। চায়না ব্রোকেন দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। তবে বাজারে নতুন ফ্রেশ দারুচিনির দাম কিছুটা বাড়তি। প্রতি কেজি দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৩৯০ থেকে ৪০০ টাকায়।
খাতুনগঞ্জের মসলা ব্যবসায়ী আরাফাত রুবাই প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, রমজানে মসলাজাতীয় পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। এর দুই মাস পরেই কোরবানির ঈদ হওয়ায় রমজানের আগেই অধিকাংশ মসলা আমদানি করা হয়। কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। রমজান মাস ঘিরে এবার এখনও সেভাবে মসলা আমদানি হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ডলার সংকটে এলসি খুলতে না পারাসহ নানা কারণে এবার আগের একই সময়ের তুলনায় এক তৃতীয়াংশ মসলা আমদানি কমেছে। মূলত শতভাগ মার্জিন দিয়ে এলসি খুলতে হয় বিধায় এখন একটি এলসির পেছনে অনেক বেশি পুঁজি লগ্নি করতে হচ্ছে। তাই আমদানি কমেছে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মসলা গবেষণা কেন্দ্র শিবগঞ্জ, বগুড়ার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জুলফিকার হায়দার প্রধান বলেন, আমাদের দেশে সব ধরনের গরম মসলা চাষ করা যায় না। ন্যূনতম পরিমাণ জমিতে মসলা চাষ হয়। কোথাও কোথাও কিছু বারি জিরা-১ চাষ হচ্ছে। এ ফসলে কিছুটা আশা জাগাচ্ছে। দারুচিনি ও আলুবোখারা চাষ হয়। লবঙ্গ চাষের জন্য এসব জমি উপযুক্ত নয়। তা ছাড়া আমরা ৪৪টি মসলাজাতীয় ফসল নিয়ে গবেষণা করছি। সেখানে ৩০ প্রকারের মসলা দেশে উৎপাদন হচ্ছে। আমাদের চাহিদার প্রায় বেশিরভাগ মসলাই আমদানি করতে হয়।
১২০ টাকার নিচে পোলাওর চাল নেই
পোলাওর চালের মধ্যে মোজাম্মেল ও মঞ্জুর চিনিগুঁড়া চাল ১৪০ টাকা কেজি ও নওফেলের চিনিগুঁড়া ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেটজাত চিনিগুঁড়া চালের মধ্যে এরফান ১৭৫ টাকা, আকিজের এসেন্সিয়াল ১৭০ টাকা, প্রাণ কোম্পানির চাল ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তা ছাড়া প্রাণ কোম্পানির চিকন সেমাই ২০০ গ্রাম বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়, ২০০ গ্রাম মেট্রো সেমাই ৫০ টাকা, বনফুল ৫০ টাকা এবং কুলসুন সেমাই ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম
কারওয়ান বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে দাম ছিল ২০০ টাকা কেজি। একই সময়ে সোনালি মুরগির দাম ৩০ টাকা বেড়ে ৩৩০ টাকা ও লেয়ার মুরগির দাম ২০ টাকা বেড়ে ৩২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।