সোহেল রানা তালতলী প্রতিনিধিঃ
বরগুনার তালতলীতে এক রাতে চার বাড়ি থেকে নগদ-টাকা,স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন চুরি করে নেয় চোরচক্র।
বৃহৎস্পতিবার(০৭ নভেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার কলাবাগানের আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে গত মঙলবার রাতেও ঐ এলাকার দুই বাড়িতে চুরির হয়। জনবহুল এ এলাকায় একের পর এক চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত মানুষ।
স্থানীয় ও ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, চুরি হওয়া ৪টি বাড়ির তিনটিতে অনুপস্থিত ছিল পরিবারের সদস্যরা। প্রতিটি ঘরের সদর দরজাসহ ভেতর পর্যন্ত ছিল তালাবদ্ধ। এ বিষয়টি দীর্ঘদিন নজরে রাখেন চোরচক্র। বাড়িতে কেউ না থাকায় গভীর রাতে এসব বাসায় হানা দেয় চোর চক্ররা। প্রতিটি বাসার সদর দরজার তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করেন। এরপর ঘরে থাকা আলমারি, ওয়্যারড্রব এবং বিছানা ওলট-পালট করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরি করে। বাড়িতে উপস্থিত থেকেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সরকারী মডেল স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম বিএসসি’র। তার ঘরে থাকা ২টি এন্ড্রয়েড ফোন,১ টি ট্যাব, ২ টি বিদেশি ঘড়ি,আনুমানিক ৩ ভরি স্বর্ণালংকার। এতে তার আনুমানিক ৪ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নাজির সোহাগ ইসলাম তার ভাড়া বাসায় না থাকার সুযোগে চোরচক্র সদর দরজা ভেঙে প্লাস্টিক ব্যাংক কেটে আনুমানিক ৩৫ হাজার টাকা নেয়,প্রায় ১ ভরি স্বর্ণালংকারসহ আলমারি ভেঙে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে যায়। সাবেক ইউপি সদস্য নুর আলমে বাসার দরজা ভেঙে শুধু মাত্র ২টি এন্ড্রয়েড ফোন নিয়ে যায়। স্থানীয় শিশিরের বাড়িতে চুড়ি হয়েছে। তবে তারা কেউ ঘরে উপস্থিত না থাকায় কি পরিমান মালামাল চুরি হয়েছে তা জানা যায় নাই।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কালাম খান বলেন, সকালে ঘটনা শোনার পরপরই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সব বাড়ির তথ্য এবং পাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে চোর চক্র শনাক্তের চেষ্টা চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, ঐ এলাকায় বাড়তি নজরদারিতে রাখা হবে।