সোহেল রানা তালতলী প্রতিনিধি:
বরগুনার তালতলীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে
বৃহস্পতিবার (৭ই নভেম্বর) সকালে উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক শামীম আহমেদ ও আব্দুল কাদের জোমাদ্দার। পরে শহীদ জিয়ার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
এরপর বিকাল ৫টায় সময় বর্ণাঢ্য এক শোভাযাত্রা উপজেলা শহরে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে তালতলী মাছ বাজার জেডিঘাট উপজেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক শামীম আহমেদ ও আব্দুল কাদের জোমাদ্দার,
উপজেলা বিএনপির (সাবেক) সদস্য সচিব মিয়া মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক উপজেলা যুবদলের সি. যুগ্ম আহব্বায়ক মিয়া রিয়াজুল ইসলাম,ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। বাংলাদেশের রাজনীতিতে দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সিপাহি-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটেছিল, যা দেশের তৎকালীন রাজনীতির গতিধারা পালটে দিয়ে দেশ ও জাতিকে নতুন পরিচয়ে অভিষিক্ত করেছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরবর্তী সেনা অভ্যুত্থান ও পালটা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে যখন চরম নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছিল, তখন সিপাহি-জনতার মিলিত ঐক্যের বিপ্লব দেশ ও জাতিকে অনাকাঙ্ক্ষিত শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিয়েছিল। অভূতপূর্ব সেই বিপ্লব-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সাময়িক বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন স্বাধীনতার ঘোষক তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান।
বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো ৭ নভেম্বরকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। বিএনপি সরকারের আমলে এ দিনটিতে সরকারি ছুটি ছিল। আওয়ামী লীগ সরকার এ ছুটি বাতিল করে। আওয়ামী শাসনামলে দিবসটি স্বচ্ছন্দে উদ্যাপন করতে পারেনি দলটি।