সূর্যের তীব্র তাপে পুড়ছে সারাদেশ। ৭৬ বছরের রেকর্ড ভাঙা তাপপ্রবাহ এখন জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এর মধ্যেই শ্রমজীবী মানুষদের জীবনযুদ্ধ চলমান। তাদের ভাষ্যমতে, সংসারের চাহিদার যে উত্তাপ, তার কাছে সূর্যের তাপ কিছুই না।
রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পরিবহন শ্রমিক মো. সেলিমের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের।
মোহাম্মদপুর-গুলিস্থান রুটে চলাচলকারী মালঞ্চ পরিবহনের চালকের এই সহকারী জানান, বাইরে যতই গরম থাকুক, কাজের প্রয়োজনে তাকে বের হতেই হয়।
সেলিম বলেন, ‘আমগো ভাই রোদ-গরম নাই। গরিবের গায়ে গরম লাগে না। গায়ে গরম লাগাইতে গেলে সংসার চলবো না।’
তিনি জানান, স্ত্রী, বাবা-মা ও দুই সন্তান নিয়ে ছয় জনের সংসার। এরমধ্যে উপার্জনকারী তিনি একাই।
সেলিমের মতো সংসারের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে তীব্র রোদে কাজে এসেছেন মো. নাঈম। রজনীগন্ধা পরিবহনের চালকের সহকারী তিনি।
রাজধানীর ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা যখন ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে, তখন সারা শরীর বেয়ে ঘাম ঝরছে এই যুবকের। গায়ের গেঞ্জি পুরোপুরি ভিজে গেছে। কপাল বেয়ে ঘাম চলে এসেছে চোখ পর্যন্ত।
বাসের মধ্যে থেকে সজোরে যাত্রী ডাকছেন তিনি। আর ক্ষণে ক্ষণে হাত দিয়ে চোখ-মুখের ঘাম মুছছেন।
আলাপকালে নাঈম বলেন, ‘গরম যতই হোক। আমগো ভাই কাজ করা লাগবে। কাজ না করলে খামু কি? সংসার আছে, পরিবার আছে। মাথার উপরে বিশাল দায়িত্ব, তার কাছে এই গরম কিচ্ছু না।’