বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে হাড়ের ক্ষয় হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু, ইদানীং অল্পবয়সীদের মধ্যেও অস্টিওপোরেসিসের ঝুঁকি বাড়ছে। হাড়ের যত্নে আমরা বরাবরই উদাসীন। আমরা নিয়মিত রাস্তার পাশের ভাজাপোড়া এবং রেস্টুরেন্টের খাবার খেয়ে থাকি। আর এই ধরণের খাবার হাড়ের জন্য ক্ষতিকর। আবার ধূমপানকারীদের ক্ষেত্রে বয়সের আগেই হাড়জনিত সমস্যা শুরু হয়।
আর এই সমস্যা থেকে বাঁচতে, কিছু উপসর্গ দেখা দিলে সতর্ক হতে হবে। প্রয়োজনে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। তার আগে আপনাকে জানতে হবে এর উপসর্গগুলো কী কী।
চলুন জেনে নেওয়া যাক:
১.অফিসে কম্পিউটারের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে কাজ করতে হয়। এর ফলে অনেকেই পিঠের যন্ত্রণায় ভোগেন। তবে নিয়ম করে শরীরচর্চা ও যোগাসন করলে এই ব্যথা দূর করা সম্ভব। কিন্তু, এটি দীর্ঘদিন ধরে হলে বুঝতে হবে, আপনি হাড়ের সমস্যায় ভুগছেন।
২.হাড় মজবুত আছে কি না তা নখের স্বাস্থ্য দেখেও বোঝা যায়। যদি নখ বার বার ভেঙে যায়, তাহলে বুঝতে হবে শরীর দুর্বল হাড়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
৩.হাত দিয়ে কিছু নিতে গিয়ে তা ধরতে না পারা। ব্যথায় নাজেহাল হওয়া। এমনকি হাত মুঠ করতে গেলেও প্রচণ্ড যন্ত্রণা করা, এ ধরণের লক্ষণ কিন্তু দুর্বল হাড়ের ইঙ্গিত হতে পারে।
৪.দাঁতের মাড়ি নরম হয়ে যাওয়াও দুর্বল হাড়ের লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এ ছাড়া বয়সের আগে দাঁত পড়াও হাড়ের দুর্বলতার লক্ষণ।
৫. হাড় দুর্বল হয়ে গেলে সামান্য আঘাতেও হাড়ে চিড় ধরতে পারে। তাই শরীরচর্চা কিংবা হাঁটাচলার সময় সতর্ক হতে হবে।